কুম্বলেই কেন কোচ?কারণ এই পাঁচ

Updated By: Jun 23, 2016, 07:41 PM IST

ভারতের কোচ নিয়োগের শুরু থেকেই প্রথম থেকে হট ফেভারিট ছিলেন রবি শাস্ত্রী। অনেক সাংবাদিকই আগে থেকেই ঘোষমা করার স্টাইলে বলে ফেলেছিলেন শাস্ত্রীয় শিক্ষায় পেতে চলেছেন কোহলিরা। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে কোচ হওয়ার দৌড়ে নেমে পড়েন অনিল কুম্বলে। কোনওদিন কোচ হিসেবে সেভাবে কাজ না করলেও আধুনিক ক্রিকেট নিয়ে তাঁর অগাধ জ্ঞান। তবে শাস্ত্রী, মুডিদের টপকে কুম্বলের কোচ হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে, সেগুলো এক নজরে----

১) বিতর্কে জড়ান না, নিজেকে লাইমলাইটে আনেন না--গ্রেগ চ্যাপেলকে নিয়ে যে ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল সেটা আর চাইছে না বোর্ড। বোর্ড চায় বিতর্কের সন্ধানে থাকা মিডিয়াকে একেবারে খবর শূন্য রাখতে। কোচ কখনও বিতর্কে থাকবেন না এমনই চাইছিল বোর্ড। এই বিষয়টায় কুম্বলে ফুল মার্কস পাবেন। কারণ খেলোয়াড়ই জীবনে অনেক উত্তপ্ত সময়েও নিজেকে গুছিয়ে রেখে বিতর্ক থেকে সরিয়ে রেখেছেন। তা ছাড়া রবি শাস্ত্রীর মত নিজেকে লাইমলাইটে রাখতে চান না। ম্যাচ বা কাপ জিতলে অধিনায়ককেই আগে বাড়িয়ে দেবেন। পাশাপাশি বক্তা হিসেবেও তিনি বেশ ভাল। যতই খোঁচাও কুম্বলের মুখ থেকে বিতর্কিত কিছু বের হবে না।

২) কথা কম, কাজ বেশিতে বিশ্বাসী--কোচ হওয়ার প্রথম শর্তটা খুব ভালভাবে পালন করেন কুম্বলে। ক্রিকেটীয় জীবনে বারবার কথা কম বলতেন, শুধু পারফরম্যান্সকেই গুরুত্ব দিতেন।

৩) সত্যিকারের টিম ম্যান-- কখনও ভাঙা চোয়াল নিয়ে বল করা, তো কখনও ভাঙা হাতে বল করা। দলের দরকারে কুম্বলে সব করতে পারেন। কোচ হিসেবে এটা খুব দরকার। টিমম্যান তৈরি করার কাজটাও তার পক্ষে সহজ হবে।

৪) কোহলির সঙ্গে রসায়ন জমার সব রসদ আছে-এক বছরের জন্য কোচ করে আনা হয়েছে তাঁকে। সময়টা বেশ কম। এই এক বছরে ভারত বেশি টেস্ট খেলবে। তার মানে ধোনির থেকে কোহলির সঙ্গে বেশি সংসার করতে হবে জাম্বোকে। কোহলি আক্রমণাত্মক, মাথা গরম, অ্যাগ্রেসিভ,আবেগি মনোভাবের ক্রিকেটার। কুম্বলে শান্ত, মাথা ঠান্ডা রাখা, বিচক্ষণ, অভিজ্ঞ মানুষ। বুঝতে পারছেন অধিনায়ক আর কোচ দুজন একেবারে মুদ্রা এপিঠ-ওপিঠ। কোচ-অধিনায়কের এই রসায়নটাই যে কোনও খেলার পক্ষে সেরা। সেটাই হল।

৫) টিম স্পিরিট,লড়াই, পরিশ্রম কথাটা তার চেয়ে আর কেউ ভাল বোঝেন না--টিম স্পিরট, লড়াই, পরিশ্রম। এই কথাগুলো তার চেয়ে ভাল আর কে জানবেন। ডানকন ফ্লেচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মাঠে নেমে তিনি সেভাবে সময় দেন না। রোদে ক্রিকেটারদের সঙ্গে মাঠে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কখনই থাকতেন না ফ্লেচার। এতে বিদেশ সফরে গিয়ে নাকি কিছুটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়তেন ধোনিরা। কুম্বলে কিন্তু একেবারে পরিশ্রমী মানুষ। বয়সটা তাঁর পক্ষে। নেটে বন্ধুদের মত মিশে নানা সমস্যা মিটিয়ে দিতে পারবেন।

 

দেখুন কুম্বলের দশ উইকেট

.